ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার কৃতি সন্তান অধ্যাপক ডাঃ শওকত ওসমান আর নেই, আজ ৪টায় জানাযা

নিজস্ব প্রতিবেদক,  চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের কৃতি সন্তান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা রোগ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ এস.এম শওকত ওসমান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

গতকাল বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮ ঘটিকায় ঢাকার একটি বেসরকারী হসপিটালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ডাঃ এস.এম শওকত ওসমান চকরিয়ার কৈয়ারবিলের মরহুম আব্বাস আহমদ চৌধুরীর পুত্র এবং চকরিয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবীদ জননেতা আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিকের জেঠাতো ভাই।

অধ্যাপক ডাঃ এস.এম শওকত ওসমান দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাহার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তার স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানিয়েছেন ।

বুধবার দিবাগত রাত ১০টায় ঢাকায় মরহুমের প্রথম জানাজা সম্পন্ন শেষ করার পর তার লাশ চকরিয়া কৈয়ারবিলের পথে রওয়ানা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে আসার পথে সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ২য় জানাজা এবং আছরের নামাজের পর মরহুমের গ্রামের বাড়ি চকরিয়ার কৈয়ারবিল জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে ৩য় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন মরহুমের জেঠতো ভাই আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক নিশ্চিত করেছেন।

ডা. শওকত ওসমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালেরর পরিচালক, চকরিয়া জমজম হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া অনেক সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি যুক্ত ছিলেন।

এদিকে ডাক্তার শওকত ওসমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন চকরিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি এম আর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া নিউজ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক সা্ইফুল ইসলাম খোকনসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা। তারা বিবৃতিতে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মরহুমের জীবনের সকল নেক আমল সমূহ কবুল জান্নাতুল ফেরদাউস কামনা করেন। অপরদিকে বিবৃতি দিয়েছেন চকরিয়া জমজম হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি অধ্যাপক এনামুল হক মঞ্জু ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরসহ হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পাঠকের মতামত: